কচুরিপানা ভর্তি ভাগীরথীতে তলিয়ে যাওয়া চার গবাদি পশুকে বাঁচালেন গ্ৰামবাসীরা

28th July 2020 8:13 pm বর্ধমান
কচুরিপানা ভর্তি ভাগীরথীতে তলিয়ে যাওয়া চার গবাদি পশুকে  বাঁচালেন গ্ৰামবাসীরা


নিজস্ব সংবাদদাতা ( কালনা ) :  কচুরি পানায় ভর্তি ভাগীরথী নদীতে তলিয়ে যাওয়া চার গবাদি পশুকে উদ্ধার করলেন গ্রামবাসীরা।নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে ওই পশুদের বাঁচাতে পেরে খুশি পূর্ব বর্ধমানের কালনার পুরাতনহাট ও কোম্পানীডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দারা।গরু ও মোষগুলিকে ঘরে ফিরিয়ে আনতে পেরে খুশি তাদের মালিকরাও।  স্থানীয়সূত্রে জানা যায় যে,কালনার পুরাতনহাট গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ভাগীরথী নদী।তার চরে জল অল্প জল থাকায় সোমবার বিকেলে বেশ কয়েকটি গবাদি পশু নিয়ে ফিরছিলেন এক মহিলা।বৃষ্টির কারণে ভাগীরথী নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় নদীর স্রোতে অন্যান্য গবাদি পশু পেরিয়ে গেলেও দুটি গরু ও দুটি মোষ কচুরি পানার ভর্তি জলে হারিয়ে যায়।খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায় নি।প্রায় ১৮ ঘন্টা তলিয়ে যাওয়ার পর  মঙ্গলবার সকালে তলিয়ে যাওয়া ওই চার গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অনেকেই হাল ছেড়ে দেয়।কিন্তু হাল ছাড়েননি বেশ কিছু মানুষ।কয়েক ঘন্টা নিজেরা চেষ্টা করে।ওই চার গবাদি পশুকে খোঁজার জন্য ডিঙি নৌকা নিয়ে অভিযান চালায়।তাতে কোন ফল না পাওয়ায় হাট কালনা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও কালনা মহকুমা শাসকের উদ্যোগে প্রায় ১০ জনের একটি বিপর্যয় মোকাবিলার দল নিখোঁজ ওই গবাদি পশুর সন্ধানে নামে। এরপর বড় ইন্জিন চালিত ভুটভুটি নৌকা নিয়ে  পানা ভর্তি নদীতে ওই চার গবাদি পশুকে উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পরে কোম্পানিডাঙার কুড়ি জন যুবকের একটি দল।ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পানা ভর্তি নদীতে ১৮ ঘন্টা ধরে আটকে থাকা চার গবাদি পশুকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে।উদ্ধার হওয়া চার গবাদি পশুকে তাদের মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।এই বিষয়ে হাটকালনা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বাপ্পা মজুমদার বলেন,‘ভাগীরথী নদীতে জল কম থাকায় প্রায় পন্চাশটি গরু মোষ নিয়ে যাওয়ার সময় ওই জলের স্রোতে চারটি গবাদি পশু কচুরিপানা থাকা জায়গায় ঢুকে যায়।খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না।মঙ্গলবার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দলকেও গবাদি পশুদের সন্ধানে নামানো হয়।পুরাতনহাট ও কোম্পানিডাঙ্গা এলাকার মানুষজনও তাদের সন্ধানে নামে।শেষপর্যন্ত জীবিত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়।’





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।